নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ ক্ষমতা আর অর্থ ছাড়া এ দেশে এখন মধ্যবিত্ত পরিবারের বেকার যুবক/যুবতীদের চুকুরী করা মুসকিল হয়ে পড়েছে। নিজ এলাকায় এশিয়া মহা দেশের বৃহত্তম বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র,
এলাকার বেকারদের চাকুরী দান ও আর্থিক ভাবে
সহযোগীতা করার কথা, গ্যাস ক্ষেত্র নির্মানকালে আমার শুনে এসেছিলাম। এ ছাড়াও বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্ট সহ কাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র আমাদের এলাকায়
থাকলেও আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের কারো
চাকুরী হওয়ার কথা আমার জানা নেই। মামা ভাইগনার সর্ম্পক না থাকলে চাকুরী পাওয়া যায় না। দীঘ প্রচেষ্টার পর আমি এটা বুঝতে পেরেছি।
অবশেষে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি বাড়ি একটি খামার সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্টের কথা শুনে আমি চিন্তা করলাম, আমি
নিজেই নিজেকে স্বাবলম্বী করবো সবজি চাষাবাদের
মাধ্যমে। আমি এটুকু বলতে পারি সবজি চাষ করে আমি আজ অসহায় নয়। কিছুটা হলেও স্বাবলম্বী হতে পেরেছি। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে
চাকুরী নয়, বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরীত করাতে হলে নিজেদের প্রচেষ্টাই ছোট বড় কামার গড়ে তুলতে হবে।নবীগঞ্জের হাবিব চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে অন্যোর এক একর
জায়গা বর্গা নিয়ে ২০টি হাজারী বেগুনের চারা, কচু, নাগা মরিচ, কাকরুল ও শসা দিয়ে সবজি চাষ শুরু করে। ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সখের পেশা হিসাবে বেচেঁ নেয় এই চাষাবাদ। আউশকান্দি ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর গ্রামের মোঃ ছায়েদ মিয়ার পুত্র মোঃ হাবিবুর রহমান আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন রাবেয়া ম্যানশন এর সামনে ২০টি হাজারী বেগুনের চারা, কচু, নাগা মরিচ, কাকরুল ও
শসা দিয়ে শুরু করে চাষাবাদ। প্রায় সাড়ে ৩মাস পর উপরোক্ত সবজি বিক্রি করে সংসার পরিচালনার করার পরও যা আয় হয়েছে তা দিয়ে
আরো দ্বিগুন করে ৬০টি হাজারী বেগুনের চারা, কুমড়, লুবউরি, চিচিংরা, জিংঙ্গা ও মুলা চারা রোপন করে। আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায়
ফসলী জমির উর্বরতা ও ভাল ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় ভাল মানের বীজ ও সার ব্যবহার
করতে না পারায় আশানুরোপ ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে না বলে জানায় হাবিব। সে বিষাক্ত পোকা মাকড় থেকে ফলন্ত ফসল রক্ষার্থে খরচ বাচাঁতে ঔষধী গাছের রস ব্যবহার করে আসছে তার
ফসলী জমিতে। গতকাল সোমবার বিকালে তার ফসলী জমিতে পরিদর্শনকালে এ প্রতিনিধিকে জানায়, আমার আর চাকুরীরর প্রয়োজন নেই। স্বাবলম্বী হতে নিজেই হাল ধরেছি। আমার প্রজেক্ট বড় হলে আমিই আমার এলাকার বেকার অর্ধ শিক্ষিত যুবকদেরকে চাকুরী দেব বলে আশা
করেছি। প্রথম বারের মতো সবজি চাষ করে আমি কিছুটা সাবলম্বি হতে পেরেছি। আশা করি এ পেশায় আমি তাড়াতাড়ি না পারলেও একদিন সাবলম্বী হয়ে সমাজে স্বাচ্ছন্দে বেচেঁ থাকতে পারবো। তাই সখের পেশা হিসাবে বেচেঁ নিলাম এই সবজি চাষ,
দেখি ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে পারি কি না। হাবিবকে কৃষি উন্নয়ন প্রজেক্টের আওতায় ঋণ প্রদান করলে গ্রাম বাংলার হাবিবরা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশকে রুপান্তরিত করতে সময় লাগবে
না।